Image description

যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়া রাজি না হওয়ায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘অকার্যকর বৈঠক’ চান না। 

বুধবার (২২ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

পুতিনের সাথে বুদাপেস্টে বৈঠকের পরিকল্পনা স্থগিত হওয়ার পরে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অকারণে সময় নষ্ট করতে চান না। 

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে দেয়া এক বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দেন যে, বর্তমান ফ্রন্ট লাইনে মস্কোর যুদ্ধ বন্ধে অস্বীকৃতিই মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে, হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, শিগগিরই ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের কোন পরিকল্পনা নেই।

অথচ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছিলেন, পুতিনের সাথে দুই সপ্তাহের মধ্যে বুদাপেস্টে আলোচনায় বসবেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সপ্তাহে শান্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার প্রস্তাবের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে, যা শীর্ষ সম্মেলনের সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিয়েছে।

ট্রাম্প এবং পুতিন সর্বশেষ আগস্ট মাসে আলাস্কায় একটি শীর্ষ সম্মেলনের সময় দেখা করেছিলেন, যার কোনো সুনির্দিষ্ট ফলাফল আসেনি। হয়ত এবারের ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকেও কোনো ফলাফল আসবে না- আশঙ্কা থেকেই তা স্থগিত করা হতে পারে।
 
একজন জ্যেষ্ঠ ইউরোপীয় কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় রাশিয়ানরা খুব বেশি কিছু চেয়েছিল এবং আমেরিকানদের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে বুদাপেস্টে ট্রাম্পের জন্য কোনো চুক্তি হবে না।’
 
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে একটি প্রস্তুতিমূলক বৈঠক এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল - কিন্তু হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুজনের মধ্যে ফোনে ভালোভাবে আলোচনা হয়েছে সুতরাং বৈঠকের আর কোনো প্রয়োজন নেই।

সোমবার, ট্রাম্প কিয়েভ এবং ইউরোপীয় নেতাদের সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন যাতে বর্তমান ফ্রন্ট লাইনে সংঘাত স্থগিত করা যায়।
 
ট্রাম্প জানান, ‘আমি বলেছি এই অবস্থাতেই যুদ্ধ বন্ধ করুন। এখনই থামুন। বাড়ি যান। লড়াই বন্ধ করুন, মানুষ হত্যা বন্ধ করুন।’

এদিকে, মঙ্গলবার সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, মস্কো কেবল দীর্ঘমেয়াদী, টেকসই শান্তি-তে আগ্রহী, তিনি ইঙ্গিত দেন যে ফ্রন্ট লাইন স্থগিত করা কেবল একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সমান হবে।
 
লাভরভ বলেন, সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান করা দরকার, যার মধ্যে রয়েছে ডনবাসের উপর রাশিয়ার পূর্ণ সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি এবং ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ।