Image description

চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েল আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং এদের মধ্যে কয়েকটি লাশে নির্যাতনের সুস্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেছে। 

বুধবার (২২ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (ICRC)-এর মাধ্যমে এই লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'বেশ কিছু লাশে মারধরের আঘাত, বাঁধা হাত এবং চোখে কাপড় বাঁধা থাকার মতো নির্যাতনের পরিষ্কার চিহ্ন দেখা গেছে।' মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল মোট ১৯৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৫৭টি লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

ইসরায়েলের বছরের পর বছর ধরে চলা অবরোধ এবং গাজার পরীক্ষাগারগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে ফরেনসিক পরীক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় পরিবারগুলো বাকি থাকা শারীরিক চিহ্ন বা পোশাকের ওপর ভিত্তি করে তাদের স্বজনদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে। 

এর আগে বুধবার সকালেই গাজা সরকার ইসরায়েল কর্তৃক ফেরত দেওয়া ৫৪ জন ফিলিস্তিনির লাশের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করে, যাদের মুখাবয়ব নির্যাতনের ফলে অস্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় সনাক্ত করা যায়নি। 

ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু রিট্রিভ মার্টার্স’ বডিস-এর তথ্য অনুসারে, যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলের হাতে ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ছিল। এছাড়া, হারেৎজ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ ইসরায়েলের কুখ্যাত সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে গাজার প্রায় ১,৫০০ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ আটকে রেখেছে।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তির প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের আংশিক সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরিকল্পনায় আরও রয়েছে গাজার পুনর্গঠন এবং হামাসকে বাদ দিয়ে একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলের 'গণহত্যা যুদ্ধে' এ পর্যন্ত মোট ৬৮,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১,৭০,৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।