মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে রেকর্ড ১৭৬ রান যোগ করেন সৌম্য সরকার। তবে ব্যক্তিগত ফিফটির পর সাইফ ফিরলেও সৌম্যকে থামতে হলো নার্ভাস নাইনটিতে। ৯১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে তিনি আউট হন। এরপর দলের হাল ধরেছেন তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
আগের দুটি লো-স্কোরিং ম্যাচের পর আজ মিরপুরের উইকেট যেন ভিন্ন রূপে ধরা দিল। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার সৌম্য ও সাইফ ক্যারিবীয় বোলারদের ওপর শুরু থেকেই চড়াও হন। ১৬ ওভার শেষেই বাংলাদেশ শতরানের গণ্ডি পেরিয়ে যায়।
তাদের ১৭৬ রানের ওপেনিং জুটিটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিটন-তামিমের ২৯২ রানের রেকর্ড অক্ষুণ্ণ থাকলেও, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড। এর আগে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সেরা ওপেনিং জুটি ছিল ১৪৪ রানের।
স্পিন আক্রমণ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং শুরু করলেও আকিল হোসেনের প্রথম ওভারেই সাইফ দুটি চার মেরে ইঙ্গিত দেন আজকের ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হবে। এরপর আগ্রাসী রূপে হাজির হন সৌম্য। মাত্র ৪৬ বলে পঞ্চাশ রান আসে উদ্বোধনী জুটিতে।
খ্যারি পিয়েরের বলে সাইফ একবার এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন থেকে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেও, পেস বোলার জাস্টিন গ্রেভসকে সৌম্য দুটি চার মেরে বোঝান, আজ কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ৪৮ বলে নিজের ১৪তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন সৌম্য। এরপর ৪৪ বলে ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন সাইফ হাসান।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দিকেই ছুটছিলেন দুই ওপেনার। ২৬তম ওভারে রোস্টন চেজকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে জাস্টিন গ্রিভসের হাতে ধরা পড়েন সাইফ হাসান। ৭২ বলে ৬ ছক্কায় ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
সাইফ ফিরলেও সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন সৌম্য। তবে তিনিও শেষ পর্যন্ত ক্যাচ আউট হয়ে বিদায় নেন। ৮৬ বলে ৪ ছক্কায় ৯১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান। ক্রিজে তাওহিদ হৃদয় ২১ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ২৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।




Comments