নির্বাচনী প্রতীকের তালিকায় সম্প্রতি যুক্ত হওয়া 'শাপলা কলি' এবং 'শাপলা' এক নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, 'শাপলা' প্রতীক নিয়ে গত প্রায় চার মাস ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে ইসির টানাপোড়েন চলছিল।
ইসি কোন বিধির আলোকে 'শাপলা কলি' প্রতীক যুক্ত করল—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, "ইলেকশন কমিশন মনে করেছে যে 'শাপলা কলি' রাখা যেতে পারে। এটা কারও দাবির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। এনসিপি 'শাপলা' প্রতীক চেয়েছে। দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে। এটা আমার মনে হয় ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে না।"
এনসিপির চাপে তফসিলে 'শাপলা কলি' যুক্ত করা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, "নতুন যে প্রতীকগুলো এসেছে, সেখানে 'শাপলা কলি' রাখা হয়েছে। 'শাপলা' আর 'শাপলা কলি'র ভেতর পার্থক্য আছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিল সংশোধন করেছি। কিছু কিছু প্রতীক নিয়ে কিছু মন্তব্য আমরা শুনেছি। সেগুলো বিবেচনায় আগে যে ১১৫টি প্রতীক ছিল, তার থেকে আমরা ১৬টি প্রতীক বাদ দিয়ে নতুন করে প্রতীক নিয়ে ১১৯টি প্রতীকের শিডিউল করেছি।"
ইসি সচিব আরও যোগ করেন, "কিছু প্রতীক নিয়ে বিরূপ মতামত ও মন্তব্য এসেছে। একপর্যায়ে কমিশন মনে করেছে, এটা সংশোধন করলে করা যেতে পারে। সে হিসেবে সংশোধন হয়েছে। ব্যাপারটা এখন আর তখনের নয়। কমিশন দরকার মনে করেছে, করেছে। যদি ভবিষ্যতে প্রয়োজন হয় আবার সংশোধন করবে। এটা কোনো স্ট্যাটিক বিষয় না। কোনো আইন বিধির প্রয়োজন হয় না, এখানে নতুন করে বিতর্কের যোগ দেখছি না।"
বিভিন্ন দলের দাবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, "নির্বাচনের তিনটা মূল ধারা। একটা রাজনৈতিক দল, আরেকটা ভোটার এবং নির্বাচন কমিশন নিজেই। এই তিনটা একটা আরেকটার সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে আসবে, এর অর্থ এই না যে আমরা চাপের মধ্যে আছি।"




Comments