নেপালের জনপ্রিয় গায়িকা নীতু পাউডেল গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত ২৪ অক্টোবর সকালে কীর্তিপুর হাসপাতালের নেপাল ক্লেফট অ্যান্ড বার্ন সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে এই গায়িকার বয়স হয়েছিল ৩০ বছর।
কাঠমান্ডু জেলা পুলিশ রেঞ্জের পুলিশ সুপার পবক কুমার ভট্টরাই জানিয়েছেন, গায়িকা নীতু নিজ শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার মৃত্যুর পর সহশিল্পী ও দীর্ঘদিনের সঙ্গী গায়ক বাবুল গিরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রকাশিত বোল নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সহশিল্পী বাবুল গিরির সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই নীতু শরীরে আগুন দিয়েছিলেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে কীর্তিপুর বার্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসকদের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, গায়কের সঙ্গে তীব্র তর্ক-বিতর্কের পরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার আগে নীতু সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি উদ্বেগজনক বার্তা পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি মানসিক যন্ত্রণার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। হাসপাতালের রিপোর্টে তার আঘাতের তীব্রতা উঠে এসেছে।
বাবুল ও নীতু আট বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন। গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে নীতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আর্থিকভাবে সহযোগিতা এবং স্টুডিওর কাছে রেস্টুরেন্ট পরিচালনায়ও সহযোগিতা করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং স্টুডিওতে সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়শই কথা কাটাকাটি হতো।
নীতুর এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে নেপালের সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরাও শোকাহত। এ ঘটনায় গায়ক বাবুল গিরির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে।




Comments