Image description

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন ও দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করবেন। এনসিপিসহ গণ অধিকার পরিষদ খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না।’ 

শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকালে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠে গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জামাতের আমির, ইসলামী আন্দোলনের আমিরসহ যে সমস্ত জাতীয় নেতৃবৃন্দ গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবেন, তারাও যেনো সম্মান দেখিয়ে এসব জাতীয় নেতৃবৃন্দের এলাকায় প্রার্থী না দিয়ে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেন।’

নুরুল হক নুর বলেন, ‘দিনাজপুরে একসময় একটি চিনিকল ছিল, আজ সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শুধু দিনাজপুর নয়—রংপুর, কুষ্টিয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় সমৃদ্ধ চিনিশিল্প ও পাটশিল্প ছিল। এসব শিল্প বিদেশি ষড়যন্ত্রে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়ে।’

নুর বলেন, ‘২৪-এর অভ্যূত্থানের আগে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ কেউ সভা সমাবেশ করতে পারেনি। এখন রাজনৈতিক দলগুলো সভা সমাবেশ করছে, কেউ কোনো বাধা দিচ্ছে না। জুলাই সনদ গণভোটে প্রতিষ্ঠিত হবে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হবে। যেখানে উচ্চকক্ষে ১০০ ও নিম্ন কক্ষে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ ৩৫০ জন সদস্য হবে। প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চ কক্ষের সদস্য হবে। জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে। বিভিন্ন স্থানে কিছু ঘটনা ঘটছে কিছু অসুস্থ মানসিকতার নেতৃবৃন্দের কারণে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার কৃষকের ফসল উৎপাদনের সময় এলসি ওপেন করায় কৃষক ন্যায্য মূল্য পান না, যা কৃষিকাজে তাদের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। কৃষি প্রধান দেশ হয়েও আমাদেরকে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারতের কারণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে করে উত্তরের মানুষ প্রতিবছর বন্যায় ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামীতে পররাষ্ট্রনীতি শক্তিশালী করতে হবে। নতুন কৃষি নীতি করতে হবে। ৫০ বছরের পুরোনো রাজনীতি, দুর্নীতি আপনারা দেখেছেন। যারাই ক্ষমতায় গেছে সবাই একই পথে হেটেছে। তাই তরুণদের ভোট দিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। তরুণরাই পারবে আগামীর বাংলাদেশকে বদলে দিতে। এবারের রক্ত আমরা কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেব না।’

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহীদুল ইসলাম ফাহিম, হানিফ কান রাজিব, নির্বাহী সদস্য মো. কামালসহ প্রমুখ ক্তব্য রাখেন।