Image description

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবটের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ বা রোমান্টিক’ সম্পর্কে জড়িত।

ভ্যানটেজ পয়েন্ট কাউন্সেলিং সার্ভিসেস-এর এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের অন্তত ৫৪ শতাংশ মনে করেন, এআই এখন তাদের জীবনে সহকর্মী, বন্ধু কিংবা এমনকি পরিবারের সদস্যের মতো এক সত্তা।

তবে এদের মধ্যে ২৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের সম্পর্কটি বন্ধুত্ব বা সহযোগিতার বাইরে গিয়ে ‘ঘনিষ্ঠ বা রোমান্টিক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, অনেক অংশগ্রহণকারী এআই-এর সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে বন্ধুত্বপূর্ণ (প্লাটোনিক), ব্যবসায়িক সহকর্মী, ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক, থেরাপিস্ট, ভাইবোন কিংবা অভিভাবকের মতো বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, অন্তত ৩০টি ভিন্ন এআই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে মানুষ এই ধরনের সম্পর্কের দাবি করেছে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে জিপিটি, আর শীর্ষ পাঁচের তালিকায় রয়েছে অ্যাপলের সিরি ও গুগলের জেমিনি।

ভ্যানটেজের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বাস্তব মানবিক সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি ইনস্টিটিউট অব ফ্যামিলি স্টাডিজ উল্লেখ করার পর থেকেই এআই চ্যাটবটের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ার প্রবণতা আরও চোখে পড়ছে।

এর বাস্তব উদাহরণও পাওয়া গেছে-গত জুনে এক ব্যক্তি তার এআই প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, প্রায় ১ লাখ শব্দের কথোপকথনের পর। অথচ তার বাস্তব জীবনে তখন একজন সঙ্গী ও সন্তান ছিল।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারীদের ৩৭.৫৫ শতাংশ বর্তমানে কোনো মানবিক সম্পর্ক খুঁজছেন না বা অতীতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৩৩.৬৯ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা বর্তমানে তাদের মানবিক সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করছেন বা নৈমিত্তিক সম্পর্কে আছেন।

এছাড়া ১৯.৩০ শতাংশ বলেছেন, তারা এখন কোনো মানবিক ঘনিষ্ঠ বা রোমান্টিক সম্পর্কে নেই, তবে একজন বা একাধিক সঙ্গী খুঁজছেন।

গবেষকরা মনে করছেন, প্রযুক্তিনির্ভর একাকিত্ব ও মানবিক সম্পর্কের দুর্বলতা এআই-এর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রবণতাকে দ্রুত বাড়িয়ে তুলছে।