দীর্ঘ আট বছর পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আবারও আপেল আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দেশের বাজারে আপেলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রায় আট বছর ধরে ভারত থেকে বৈধপথে আপেল আমদানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দেশের বাজারে আপেলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় সম্প্রতি উভয় দেশের আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমঝোতার ভিত্তিতে রোববার বিকেল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আপেল আমদানি শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, কাশ্মীর থেকে এসব আপেল আমদানি করেছে চট্টগ্রামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খাজা আজমির ট্রেডিং। সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, রোববার বিকেল ৫টায় আপেল বোঝাই প্রথম ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। প্রথম দিন এক ট্রাকে ৩০ টন আপেল আমদানি করা হয়েছে। কাস্টমস বিভাগের যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যায় আপেল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।
আমদানিকারক আলহাজ্ব এম এ আবছার আলী বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রাইম এন্টারপ্রাইজ সিএন্ডএফের মাধ্যমে ভারতের মালদার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই ট্রেডার্স কাশ্মীর থেকে এসব আপেল রপ্তানি করেছে।
হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাঁধন জানান, দীর্ঘদিন পর এই বন্দর দিয়ে আপেল আমদানি শুরু হওয়ায় রাজস্ব আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, প্রতি টন আপেল ৭০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। যেহেতু আপেল একটি কাঁচাপণ্য, তাই দ্রুত ছাড় করণে আমদানিকারকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এই আমদানির ফলে একদিকে যেমন স্থানীয় বাজারে আপেলের সরবরাহ বাড়বে, তেমনি ভোক্তা পর্যায়েও দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।




Comments