Image description

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাসার পাশের নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে নিহত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল  ও তার ছেলে ওমর ফারুকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামের একটি বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে এলাকার কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।

আগের দিন শুক্রবার রাত ১২টায় শহরের গাবতলী এলাকার জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল ও ছেলে ওমর ফারুকের (১২) জানাজা হয়। এসময় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে নিহত দেলোয়ারের ভাই জাকির হোসেনের হাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার অনুদান তুলে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সঙ্গে চাকরিজনিত কারণে দেলোয়ার নরসিংদী শহরের গাবতলী এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভূমিকম্পের সময় পাশের বাসার দেওয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। সেখানে চিকিৎসকরা বাবা-ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শুক্রবার সকালে দেলোয়ারসহ তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান গুরুতর আহত হন। প্রথমে নরসিংদী সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে ছেলে ওমরকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ার মারা যান।

নিহত উজ্জ্বল বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনে উচ্চমান সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। ছেলে ওমর নরসিংদীর একটি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করতো।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী। এতে ১০ জন নিহত ও ৬ শতাধিক আহত হন।