যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় তীব্র হতাশায় ভুগছিলেন ভারতের হায়দরাবাদের ৩৮ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসক। তীব্র মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তিনি অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ উদ্ধারের সময় পুলিশ এ সংক্রান্ত একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। আত্মহত্যা করা ওই নারী চিকিৎসকের নাম রোহিনি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত শনিবার আত্মহত্যার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। রোহিনির পরিবারের সদস্যরা অন্য এলাকায় থাকেন। দীর্ঘক্ষণ দরজায় নক করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় পান তারা। মূলত, গৃহকর্মী প্রথমে সাড়াশব্দ না পাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেন এবং পরিবারের সদস্যদের খবর দেন।
পুলিশের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে তিনি ঘুমের ওষুধের অতিরিক্ত ডোজ নিয়েছেন বা নিজেই কোনো ওষুধ ইনজেকশন দিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে ওই নারী চিকিৎসকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে তিনি তার হতাশার কথা উল্লেখ করেছেন এবং সেখানে মার্কিন ভিসা প্রত্যাখ্যানের কথাও লেখা ছিল। রোহিনির মা লক্ষ্মী জানান, তার মেয়ে চাকরি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু, ভিসা না পাওয়ায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
হায়দরাবাদের পদ্মা রাও নগরে থাকতেন রোহিনি। ইন্টারনাল মেডিসিনে বিশেষজ্ঞ হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। রোহিনির মা জানান, তিনি মেয়েকে ভারতেই থেকে চিকিৎসাসেবায় যুক্ত হতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু, রোহিনি যুক্তরাষ্ট্রে রোগীর সংখ্যা কম, আয়ের সুযোগ বেশি— এই যুক্তি দেখিয়ে সেখানে যেতে চাইতেন।




Comments