রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আটকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় এক নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজন ট্রাফিক সহায়তাকারীকে আটক করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ টিম।
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তালহা, আল-আমিন (হিসাববিজ্ঞান), সোহেল, চৈতি আলম, মোহন খন্দকার, সোহান প্রামাণিক ও আল-আমিন (রসায়ন) রয়েছেন। তাদের দয়াগঞ্জ ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে জবি শিক্ষার্থীদের বহনকারী ‘সাদ সুপার’ নামের একটি বাস দয়াগঞ্জ মোড়ে সিগন্যালে আটকা পড়ে। যানজট নিরসনে কয়েকজন শিক্ষার্থী বাস থেকে নামলে ট্রাফিক সহায়তাকারীদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ট্রাফিক সদস্যরা শিক্ষার্থীদের পুলিশ বক্সে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্স ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজনকে আটক করে। ওয়ারী বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ জানান, তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




Comments