দীর্ঘ চার সপ্তাহের থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ তানজিয়া জামান মিথিলা। ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সেরা মুকুট জিততে না পারলেও, বিশ্বের ১২১টি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে ‘সেরা ৩০’-এ জায়গা করে নেওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান মিথিলা।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন মিথিলা। সেখানে ২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ১৯ দিনের ক্যাম্প এবং অন্যান্য কার্যক্রম মিলিয়ে মোট চার সপ্তাহের বেশি সময় অতিবাহিত করেন তিনি। মিথিলা জানান, তার মূল লক্ষ্য ছিল বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পতাকাকে সঠিকভাবে তুলে ধরা। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যতটুকু পরিশ্রম ও কষ্ট করা দরকার, আমি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তা করেছি। সেরা মুকুট না পেলেও সেরা ৩০-এ থাকতে পেরে আমি সন্তুষ্ট।”
প্রতিযোগিতায় সুইমস্যুট বা বিকিনি রাউন্ডে অংশ নেওয়া নিয়ে দেশে সৃষ্ট সমালোচনা প্রসঙ্গে মিথিলা সরাসরি উত্তর দেন। তিনি বলেন, “ক্লোজডোর ইন্টারভিউ, ইভিনিং গাউন, ন্যাশনাল কস্টিউম ও সুইমস্যুট—এই চারটি বিভাগে প্রতিযোগীদের নম্বর দেওয়া হয়। এই ধাপগুলো ঠিকমতো পার করতে না পারলে সেরা ৩০-এ আসা সম্ভব ছিল না। আমি প্রতিযোগিতার নিয়ম মেনেছি, বাংলাদেশকে ছোট করিনি।”
দেশবাসীর সমর্থন ও ভালোবাসায় অভিভূত মিথিলা বলেন, “যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তারা আসলে ব্যক্তি মিথিলাকে নয়, বাংলাদেশকে ভোট দিয়েছেন। আমি নিজেকে নয়, বাংলাদেশকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলাম।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক দেশ ৫০-৬০ বছর ধরে চেষ্টা করেও ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারছে না, সেখানে বাংলাদেশের সরকারি ও সাধারণ মানুষের সমর্থন এই যাত্রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এই আসরে বাংলাদেশের পথচলা সহজ করতে আরও প্রস্তুতির প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন।
এবারের মিস ইউনিভার্স ২০২৫ প্রতিযোগিতাটি নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। মেক্সিকোর ২৫ বছর বয়সী প্রতিযোগী ফাতিমা বশ চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে মুকুট জিতেছেন। তবে তাকে আয়োজক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ‘অপমানিত’ করার অভিযোগ ওঠায় প্রতিযোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল।
মিথিলা তার এই যাত্রায় যারা পাশে ছিলেন এবং সমর্থন দিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীতে আরও ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।




Comments