আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই দেশে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে জনগণের রায় নিতে ইতোমধ্যে ‘গণভোট অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল পেজে গণভোট পরিচালনার প্রক্রিয়া নিয়ে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই সঙ্গে পরিচালিত হবে। প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিচের বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হয়েছে:
১. একই কেন্দ্র ও সময়: জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই কেন্দ্রে এবং একই সময়সীমার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
২. ভোটার তালিকা: সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতকৃত ভোটার তালিকা দিয়েই গণভোট পরিচালিত হবে।
৩. ভিন্ন ব্যালট ও বাক্স: দুই ধরনের ভোটের জন্য আলাদা রঙের ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স থাকবে।
৪. ভোটের পদ্ধতি: গণভোটে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্ন থাকবে। জনগণ সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে সম্মতি জানালে ‘হ্যাঁ’-তে এবং দ্বিমত পোষণ করলে ‘না’-তে সিল দেবেন।
৫. কর্মকর্তাদের দায়িত্ব: নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একই সঙ্গে দুই ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন।
৬. গণনা পদ্ধতি: জাতীয় নির্বাচনের মতোই গণভোটের গণনা চলবে এবং তা একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
৭. প্রবাসীদের অংশগ্রহণ: প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে গণভোটে অংশ নিতে পারবেন।
গণভোটের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের অংশ হিসেবে সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ অনুসারে সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে জনগণের সম্মতি আছে কি না, তা যাচাই করতেই এই গণভোটের আয়োজন করা হচ্ছে।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




Comments