দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সম্পন্ন হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট। এবারের নিলামে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকা দরে নাঈম শেখ চট্টগ্রাম রয়্যালসে জায়গা করে নিলেও, নিলামের টেবিলে হতাশ হতে হয়েছে দেশি-বিদেশি বহু তারকা ক্রিকেটারকে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অনাগ্রহে অবিক্রিতই থেকে গেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অনেক পরিচিত মুখ।
নিলামে বিদেশি ক্যাটাগরিতে বড় বড় নাম থাকা সত্ত্বেও দল পাননি অনেকেই। বিশেষ করে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের একটি বড় অংশ এবার অবিক্রিত। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমান আলী আগা, অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক, শান মাসুদ, আহমেদ শেহজাদ ও আসিফ আলীর মতো তারকারা কোনো দল পাননি। এছাড়া আমের জামাল, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ ওয়াসিম, উসামা মীর, মোহাম্মদ হাসনাইন ও শাহনেওয়াজ দহানিরাও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নজর কাড়তে ব্যর্থ হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের মধ্যে চারিথ আসালঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দুনিথ ভেল্লালাগে, দীনেশ চান্দিমাল ও আভিষ্কা ফার্নান্দোর মতো ক্রিকেটাররা দল পাননি। ভারতের আইপিএলজয়ী স্পিনার পীযুষ চাওলা নাম নিবন্ধন করেও অবিক্রিত থেকে গেছেন। বিপিএলের নিয়মিত মুখ রবি বোপারা ও সামিত প্যাটেলকে নিয়েও এবার কেউ আগ্রহ দেখায়নি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অন্যান্য দেশের তারকাদের মধ্যে জনসন চার্লস, রাহকিম কর্নওয়াল, জশ লিটল, পল স্টার্লিং, হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যানফার, ওশান থমাস, সন্দীপ লামিচানে ও সাউদ শাকিলও দলহীন অবস্থায় রয়েছেন।
বিদেশিদের মতো দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যেও অভিজ্ঞ ও তরুণ অনেক ক্রিকেটার দল পাননি। জাতীয় দলের সাবেক পেসার রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী এবং অলরাউন্ডার সোহাগ গাজীর মতো অভিজ্ঞরা অবিক্রিত থেকে গেছেন।
তরুণদের মধ্যে মুনিম শাহরিয়ার, সাদমান ইসলাম, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শেখ পারভেজ জীবন, আশিকুর রহমান শিবলি ও আনিসুল ইমন কোনো দলে সুযোগ পাননি। এছাড়া নাহিদুল ইসলাম, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, নাঈম ইসলাম, মার্শাল আইয়ুব, তানবির হায়দার ও শফিকুল ইসলামের মতো নিয়মিত পারফর্মাররাও এবারের বিপিএলে দল পাননি।




Comments