হাইল হাওরের লাল শাপলার রঙে রাঙা শ্রীমঙ্গল, দর্শনার্থীর ঢল
বাংলাদেশে এখন শীতকাল। তবে প্রকৃতিতে এখনো রয়ে গেছে বর্ষার স্নিগ্ধতার ছোঁয়া। খালে-বিলে থইথই পানির উপর ফুটে থাকা লাল শাপলা সেই স্নিগ্ধতাকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হাইল হাওরে গড়ে ওঠা শাপলা বিলে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমী দর্শনার্থীরা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার শেষ সীমানায় অবস্থিত মির্জাপুরের হাইল হাওর কৃষি ও মৎস্যসম্পদের জন্য বিখ্যাত। দেশীয় মাছের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পরিচিত এই হাওর এখন নতুন করে নজর কাড়ছে লাল শাপলার অপরূপ সৌন্দর্যে। পূর্ণ রূপে ফুটে ওঠা শাপলার লালিমায় রঙিন হয়ে উঠেছে পুরো বিল, যা এখন নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা হাওরে ভিড় করছেন। কেউ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, আবার স্থানীয় প্রান্তিক মানুষেরা মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে পর্যটকদের জন্য বিলে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা না থাকায় কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। অনেককেই বিলের গভীরে যেতে না পেরে পাড় থেকেই সৌন্দর্য দেখে ফিরতে হচ্ছে।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বন্ধুদের নিয়ে শাপলা দেখতে এসেছি। দৃশ্যটি খুবই মনোরম। তবে নৌকা না থাকায় বিলের মাঝখানে গিয়ে ঘুরতে পারলাম না। নৌকার ব্যবস্থা থাকলে ভ্রমণটা আরও উপভোগ্য হতো।’
শিক্ষার্থী রায়হান উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এখানে এসেছি। একসঙ্গে এত লাল শাপলা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। যাতায়াত ও ঘুরে দেখার ব্যবস্থা আরেকটু ভালো হলে এখানে আরও অনেক মানুষ আসবে।’
আরেক দর্শনার্থী মিলি বলেন, ‘পুরো বিল যেন লাল শাপলায় ভরে গেছে। হাজারো শাপলা ফুটে অবিশ্বাস্য এক দৃশ্য তৈরি করেছে, যা দেখে মন ভরে গেল।’
স্থানীয়দের প্রত্যাশা, পর্যটন ব্যবস্থাপনা উন্নত করা গেলে হাইল হাওরের এই ‘শাপলা বিল’ দ্রুতই জাতীয় পর্যটন মানচিত্রে বিশেষ স্থান করে নেবে এবং শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে।




Comments