Image description

লিবিয়ায় আটকে পড়া ও বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় আরও ৩১০ জন নাগরিক দেশে ফিরছেন। লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারের ব্যবস্থাপনায় এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ‘ফ্লাই ওইয়া’ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় পরিচালিত এটি চতুর্থ বিশেষ ফ্লাইট।

ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ফেরত আসা যাত্রীদের মধ্যে লিবিয়ার মিসরাতা শহর থেকে ১৫১ জন এবং ত্রিপোলি থেকে ১৫৯ জন রয়েছেন। মিসরাতা থেকে আগতদের বিশেষ নিরাপত্তায় ত্রিপোলির সরকারি অভ্যর্থনা কেন্দ্রে এনে দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়।

ত্রিপোলির অভ্যর্থনা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রবাসীদের বিদায় জানান লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার। তিনি জানান, দূতাবাসের তৎপরতায় এই প্রবাসীদের জেল ও জরিমানা মওকুফ করে সম্পূর্ণ নিরাপদে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে।

বিদায়লগ্নে রাষ্ট্রদূত অনিয়মিত অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, “অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রা শুধু অর্থ ও জীবনের ঝুঁকিই বাড়ায় না, দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে।” তিনি ভুক্তভোগীদের মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার এবং দেশে ফিরে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি লিবিয়া সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

একনজরে প্রত্যাবাসন চিত্র:

আজকের ফ্লাইট: ৩১০ জন।

অক্টোবর থেকে বিশেষ ৪টি ফ্লাইটে মোট: ১,২৩৮ জন।

২০২৩ সালের জুন থেকে সর্বমোট: ৭,৮২৯ জন বাংলাদেশিকে আইওএম এবং লিবিয়া সরকারের সহায়তায় দেশে ফেরত পাঠিয়েছে দূতাবাস।