Image description

দেশের খুচরা বাজারে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে মসলাজাতীয় এই পণ্যটির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, মোকামে (উৎপাদন অঞ্চল) সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে, যার তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন।

সরেজমিনে ঢাকার কারওয়ান বাজার, মহাখালী ও মিরপুরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত বুধবারও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। অথচ শুক্রবার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে। অর্থাৎ, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা পর্যন্ত। আর এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৪০ টাকা।

এর আগে মাসখানেক ধরে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল ছিল। তখন কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে দর ১২০ টাকায় পৌঁছায়। এরপর সরকার আমদানির সিদ্ধান্তের কথা জানালে দাম কিছুটা কমে ১০৫-১১০ টাকায় নেমে আসে। তবে গত ৪-৫ দিন ধরে বাজার আবারও ঊর্ধ্বমুখী। যদিও টিসিবির হিসাবে, গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের দাম এখনও ১০ শতাংশ কম রয়েছে।

গত সপ্তাহে কৃষি উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, পিয়াজের পর্যাপ্ত মজুত আছে। নতুন পিয়াজও শিগগিরই বাজারে চলে আসবে। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের এমন পদক্ষেপের সুযোগ নিচ্ছেন মজুতদাররা।

কারওয়ান বাজারে পিয়াজ কিনতে আসা রফিকুল বলেন, ৩-৪ দিন আগে ১১০ টাকা কেজিতে পিয়াজ কিনেছি। দোকানদার এখন দাম চাচ্ছেন ১৫০ টাকা। বাজার তদারকের বিষয়ে সরকারের ন্যূনতম কোনো নজরদারি নেই। এই সুযোগেই তারা কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন।

ঢাকায় যেসব জেলা থেকে পিয়াজ আসে, সেসব এলাকায় দাম বাড়ছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া। তিনি বলেন, দুই দিনের ব্যবধানে উৎপাদন এলাকা ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া ও পাবনার হাটে প্রতিমণে পিয়াজের দাম এক লাফে বেড়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।