বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নারী জাগরণের ‘আলোক দিশারি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, কঠোর রক্ষণশীল পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠলেও বেগম রোকেয়া ছিলেন তৎকালীন সমাজের একজন অগ্রণী পথপ্রদর্শক। সোমবার বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী গণমাধ্যমে এ বাণী পাঠান।
বাণীতে তারেক রহমান মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
বাণীতে উল্লিখিত মূল বিষয়গুলো:
১. শিক্ষাই নারীর শক্তি: তারেক রহমান বলেন, বেগম রোকেয়া অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন যে, শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা এবং ব্যক্তিত্ব বিকাশের মূল চাবিকাঠি। পিছিয়ে পড়া মুসলিম নারীসমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে তিনি সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
২. সংগ্রাম ও দৃঢ়তা: নারীমুক্তির কথা বলতে গিয়ে বেগম রোকেয়াকে সমাজের রক্ষণশীল ও গোঁড়া শ্রেণির প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু তিনি ছিলেন নিজের কর্তব্যে অদম্য ও অবিচল। শত সামাজিক বাধা ও কূপমণ্ডূকতা উপেক্ষা করে তিনি নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।
৩. লেখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, বেগম রোকেয়া তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যের মূলে আঘাত হেনেছিলেন। সংসার ও সমাজে নারীর স্বায়ত্তশাসন এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন সোচ্চার।
তারেক রহমান আশা প্রকাশ করেন, বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ এ দেশের নারীসমাজকে আত্মনির্ভরশীল হতে এবং আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।




Comments