Image description

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (পিআইপি) ও এমপি পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স এবং রিটেইনার নিয়োগের বিষয়ে নতুন নীতিমালা-২০২৫ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা রোধে এই বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নীতিমালার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে সরকার স্বীকৃত 'রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি' হতে হবে এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আয়কর প্রদানের বিষয়টি শিথিলযোগ্য রাখা হয়েছে। আবেদনকারীর নিরাপত্তা ঝুঁকি গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা যাচাইকৃত হতে হবে এবং তার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার পাশাপাশি অস্ত্র সংরক্ষণের নিরাপদ ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এই নীতিমালার আওতায় প্রদত্ত লাইসেন্সটি হবে সাময়িক। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত এর মেয়াদ থাকবে। এরপর লাইসেন্সটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে প্রচলিত নীতিমালার অন্যান্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে এই সাময়িক লাইসেন্সকে সাধারণ লাইসেন্সে রূপান্তর করতে পারবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অস্ত্র নিজের কাছে রাখলে তা বেআইনি হবে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ একজন রিটেইনার (অস্ত্র বহনকারী) নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য রিটেইনার ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রার্থী যদি অস্ত্র ক্রয়ে অনিচ্ছুক বা অসমর্থ হন, তবে তিনি বৈধ অস্ত্রধারী এবং পরিচালনায় সক্ষম এমন ব্যক্তিকে রিটেইনার হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন হবে।