টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ের দিক থেকে সাকিব আল হাসান জায়গা করে নিয়েছেন ইতিহাসের সেরা তালিকায়। এখন পর্যন্ত ৪৬৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তিনি ৪৫ বার ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন, যা তাকে এই ফরম্যাটে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচসেরা পাওয়া ক্রিকেটারদের কাতারে রেখেছে।
এই তালিকায় সাকিবের পাশে রয়েছেন আফগান তারকা রশিদ খান ও ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস। রশিদ ৫০৪টি ম্যাচ এবং হেলস ৫২৪টি ম্যাচ খেলে দুজনই সমান ৪৫ বার করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন।
সাকিবদের ঠিক ওপরে অবস্থান করছেন দুই পাওয়ারহিটার অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও কায়রন পোলার্ড। তারা দুজনই ৪৮ বার করে ম্যাচসেরা হয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন।
রোববার আইএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট-বলে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স না করতে পারলেও তৃতীয় ম্যাচে এসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে এমআই এমিরেটসের হয়ে বল হাতে দারুণ কার্যকর ছিলেন সাকিব। চার ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় তুলে নেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
পুরো স্পেলে কোনো চার বা ছক্কা হজম না করে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ওপর লাগাম টেনে ধরেন তিনি। ২৪ বলের মধ্যে ১২টিই ছিল ডট বল যা তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েরই প্রমাণ।
সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম সাফল্য পান সাকিব। ওভারের শেষ বলে স্টাম্পিংয়ের মাধ্যমে আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম উইকেট শিকার করেন তিনি।
ওই ওভারে দেন মাত্র পাঁচ রান। এরপর নবম ওভারে স্যাম কারানের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট নিশ্চিত করেন, যেখানে রান দেন মাত্র তিন। বাকি দুই ওভারেও সমান তিন রান করে দিয়ে ভাইপার্সের ইনিংসে চাপ আরও বাড়ান। সাকিবের এই কিপটে বোলিংয়ের প্রভাব পড়ে পুরো ইনিংসজুড়েই।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ডেজার্ট ভাইপার্স সাত উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করতে পারে ১২৪ রান। তুলনামূলক সহজ এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এমআই এমিরেটস ছয় উইকেট হারালেও ১৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে।
ব্যাট হাতেও দলের প্রয়োজনে অবদান রাখেন সাকিব। শেষদিকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে ২৫ বলে অপরাজিত ১৭ রান করেন তিনি। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতেই।
ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, 'প্রথমত আমি এমআই এমিরেটসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। দলে সুযোগ পাওয়া অনেক কঠিন কারণ এটি একটি তারকাখচিত দল। তাই কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পেরে আমি খুশি।'




Comments