Image description

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে আজ দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে উৎসবের আমেজ থাকলেও, গণপরিবহন সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে বিমানবন্দর ও এর আশপাশের সড়কগুলো যানবাহনশূন্য হয়ে পড়ায় হাজার হাজার মানুষকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে তেজগাঁও, মহাখালী, বনানী, কুর্মিটোলা এবং খিলক্ষেত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি। বাস বা গণপরিবহন না থাকায় সাধারণ পথচারীরা নিরুপায় হয়ে মাইলের পর মাইল হাঁটছেন। বিদেশফেরত অনেক প্রবাসী এবং পর্যটককে দেখা গেছে মাথায় বা হাতে ভারী লাগেজ নিয়ে পায়ে হেঁটে বিমানবন্দর ছাড়তে। ছোট শিশুদের নিয়ে নারী ও প্রবীণ যাত্রীদের কষ্ট ছিল অবর্ণনীয়।

ময়মনসিংহ থেকে আগত যাত্রী সিনথিয়া রহমান জানান, ট্রেনে ভিড় ঠেলে বিমানবন্দরে পৌঁছালেও সেখান থেকে মহাখালী যাওয়ার কোনো বাস পাচ্ছেন না। একই অভিজ্ঞতা ফিরোজ নামের এক যাত্রীর। তিনি বলেন, “নরসিংদী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছি, কিন্তু সব বাস রিজার্ভ করা। বাধ্য হয়ে মালামাল মাথায় নিয়ে হাঁটছি। এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবছে না।”

তারেক রহমানকে বরণ করতে রাজধানীর ৩০০ ফিট (পূর্বাচল) এলাকায় তৈরি করা হয়েছে ৪৮ বাই ৩৬ ফুটের এক বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চ। রোববার থেকে শত শত শ্রমিক দিনরাত এক করে এই মঞ্চ প্রস্তুত করেছেন। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, এই সমাবেশে অন্তত ৫০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে তারা আশা করছেন।

আজ বেলা ১২টায় তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন। বিপুল জনসমাগমকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বসানো হয়েছে পুলিশি তল্লাশি ও নিরাপত্তা চৌকি।

সার্বিকভাবে, বিএনপির নেতার এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে একদিকে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকলেও, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে স্থবিরতা এবং যানজট সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।