বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের এক ইতিবাচক প্রতিফলন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে ফিরেছেন তারেক রহমান। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজভূমিতে ফেরার এই অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের দীর্ঘ গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি সাফল্য। রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে তিনি ও তাঁর পরিবার দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রীয় নির্যাতন ও নির্বাসিত জীবনের শিকার হয়েছিলেন।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের ফলে এমন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, যেখানে নির্বাসিত নেতারা দেশে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, "আমরা এমন একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতাকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের শিকার হতে হবে না। প্রতিটি নাগরিকের জন্য আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।"
তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে নাহিদ ইসলাম তাঁকে স্বদেশে স্বাগত জানান এবং দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তাঁর অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হওয়ার কামনা করেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে (বিজি-২০২) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারেক রহমান। এর আগে সকাল ১০টায় তিনি সিলেটে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেন। দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর দেশের আকাশে প্রবেশ করে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন পোস্ট দেন।
বিমানবন্দরে নামার পর তারেক রহমান সরাসরি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় যোগ দেন এবং দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। কর্মসূচি শেষে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান।
নাহিদ ইসলামের এই বিবৃতি রাজনৈতিক সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।




Comments