Image description

সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকিকে হারানোর দিনে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে শোককে শক্তিতে পরিণত করলো ঢাকা ক্যাপিটালস। ৫ উইকেট ও ৭ বল হাতে রেখেই প্রথম জয় তুলে নিলো ঢাকা। 

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ইমাদ ওয়াসিমের মিতব্যয়ী বোলিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট এনে দেন নাসির হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সালমান মির্জা। ব্যাটিংয়ে শেষের দৃঢ়তায় জয় নিশ্চিত করে ঢাকা।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহীর শুরুটা ছিল হতাশাজনক। ইনিংসের প্রথম বলেই সাহিবজাদা ফারহানকে হারায় তারা। এরপর তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও তা বড় হতে দেননি ঢাকার বোলাররা। নাসির হোসেনের অফ স্পিনে আউট হন তানজিদ (১৫ বলে ২০)।

ইয়াসির আলী রাব্বিও ব্যর্থ হন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। ইমাদের বলে পুল করতে গিয়ে শামীম হোসেন পাটোয়ারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি (১৫ বলে ১৩)। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি রাজশাহীর অধিনায়ক শান্ত। ২৮ বলে ৩৭ রান করে আউট হন তিনি।

মুশফিকুর রহিম ২৩ বলে ২৪ রান করে ফিরলেও শেষ দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজের দায়িত্বশীল ২৬ বলে ২৬ রানের ইনিংসে ভর করে রাজশাহী তোলে ১৩২ রান। ঢাকার হয়ে ইমাদ ওয়াসিম ৩টি ও নাসির হোসেন ২টি উইকেট নেন।

১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাইফ হাসানকে হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। তবে উসমান খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৩৭ রানের জুটি দলকে ফের ম্যাচে ফেরায়। উসমান ১৫ বলে ১৮ রান করে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন মামুন। হাফ-সেঞ্চুরি মিস করে তিনি থামেন ৪৫ রানে।

অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (১২) ও নাসির হোসেন (১৯) বড় অবদান রাখতে না পারলেও শেষদিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাব্বির রহমানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ঢাকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। ১৮ বলে ৩৬ রানের জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন তারা। সাব্বির ১০ বলে ২১ ও শামীম ১৩ বলে ১৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ নাওয়াজ ছিলেন সবচেয়ে সফল। তিনি ২১ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া তানজিম সাকিব ও সন্দীপ লামিচানে নেন একটি করে উইকেট।