Image description

আজ শনিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ একাধিক শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে জানায়, রাজধানীটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকির মুখে রয়েছে। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেন, ‘রাজধানীতে বিস্ফোরণ হচ্ছে। আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করছে। সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকুন।’

ইউক্রেনের বিমানবাহিনীও শনিবার ভোরে দেশজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা জানায়, কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলের আকাশে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি লক্ষ করা গেছে। কিয়েভে একাধিক জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এই ঘটনার মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন। সেখানে ২০২২ সাল থেকে চলমান যুদ্ধ বন্ধের একটি প্রস্তাবিত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। 

এদিকে শুক্রবার রাশিয়া অভিযোগ করেছে, জেলেনস্কি ও তার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনাকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছেন। জেলেনস্কি চলতি সপ্তাহে যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তাতে বলা হয়েছে নতুন এই ২০ দফা পরিকল্পনার লক্ষ্য বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ স্থগিত করা। একই সঙ্গে পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সুযোগ রাখা হবে, যেখানে নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন গঠনের প্রস্তাব রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কিয়েভে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণ ও হামলার হুমকি চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলেছে, বিশেষ করে সম্ভাব্য শান্তি আলোচনার প্রাক্কালে।

এদিকে রাশিয়ার রাতভর হামলার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। শনিবার কিয়েভ সিটি প্রশাসন জানিয়েছে, হামলার কারণে শহরের ২ হাজার ৬০০টিরও বেশি আবাসিক ভবন, ১৮৭টি নার্সারি এবং ১৩৮টি স্কুলে তাপ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার সকালে কিয়েভে তাপমাত্রা ছিল প্রায় শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। এমন ঠাণ্ডার মধ্যে তাপ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।