বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে একদিকে চলছে গৃহযুদ্ধ, অন্যদিকে করা হয়েছে ভোটের আয়োজন। গৃহযুদ্ধ চলছে সামরিক সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে কেবল ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতে।
নির্বাচনে ৫৭টি দল নিবন্ধনের সুযোগ পেলেও তালিকায় নেই প্রধান রাজনৈতিক দল অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রোববার থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমা দেশ ও মানবাধিকার সংগঠন।
এ অবস্থায় সামনে এসেছে কয়েকটি প্রশ্ন। গৃহযুদ্ধের মধ্যে জান্তা সরকার কীভাবে ভোট পরিচালনা করছে? এখনই কেন ভোটের আয়োজন? বলা হচ্ছে জান্তার পেছনে চীনের সমর্থন আছে, সেটি কীভাবে? সাধারণ নাগরিকরা কি বলছেন? দেশটিতে আগে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে?
তিন ধাপ ও এর কারণ
গৃহযুদ্ধের কারণে সেনাবাহিনী এতটাই চাপে পড়েছে যে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ভোটগ্রহণের জন্য তিনটি আলাদা দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর, ১১ জানুয়ারি ও ২৫ জানুয়ারি।
দ্য ইরাবতির তথ্য অনুযায়ী, এই পদ্ধতিতে ভোট আয়োজনের ব্যাপারে জান্তা সরকার দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেছে। যেটিকে সমালোচকরা ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ বলে উল্লেখ করেছেন। কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইতোমধ্যেই মানুষকে ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করেছে। ভোট দিতে যাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি দিয়েছে।
জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং তাই তিন ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের তথ্য অনুযায়ী, ভিন্ন দিনে ভোট আয়োজনের মূল কারণ হলো- সেনাবাহিনী একযোগে সব এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না।




Comments