Image description

মিরপুর স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংস যখন ২০০ রানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল, ঠিক তখনই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রিশাদ হোসেন। তার অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ভর করে বাংলাদেশ ২১১ রানের সম্মানজনক পুঁজি সংগ্রহ করে। রিশাদ ১৪ বলে ৩৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন, যা তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজানো ছিল। ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে এটি সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস, যার মাধ্যমে তিনি ২০০৬ সালে মাশরাফি মর্তুজার গড়া রেকর্ড ভেঙেছেন।

রিশাদ এদিন ২৭৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। এর আগে ২০০৬ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা কেনিয়ার বিপক্ষে বগুড়ায় ১৬ বলে ৪৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন, যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭৫.০০। রিশাদ সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়লেন।

মাশরাফির ওই রেকর্ড ভাঙার খুব কাছে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০১৪ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি ১৬ বলে ৪৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন। তবে রিশাদ এবার তাদের দু'জনের রেকর্ডকেই অতিক্রম করেছেন।

ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি মুশফিকের রহিমের দখলে। তিনি ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১ বলে ৩০ রান করেছিলেন। পঞ্চম সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিও আবার রিশাদ হোসেনেরই। এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডার ২০২৪ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮ বলে করেছিলেন হার না মানা ৪৮ রান।

তবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ফরম্যাটে স্ট্রাইক রেটের হিসেবে সেরা তিনটি ইনিংসই নিউজিল্যান্ডের দখলে রয়েছে। ২০১১ সালে জেমস ফ্রাইলিংক কানাডার বিপক্ষে ৮ বলে ২৮৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে ৩১ রান করেছিলেন। পরের রেকর্ডটি জেমি নিশামের। তিনি ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩ বলে ৩৬১.৫৩ স্ট্রাইক রেটে ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯ বলে ৩৫৫.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ৩২ রান করেছিলেন।