সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসরের। তবে মাঠের লড়াই শুরু হলেও টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ—চ্যাম্পিয়ন ট্রফি বা শিরোপা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কেন ট্রফিটি সামনে আনা হয়নি, তা নিয়ে জনমনে তৈরি হওয়া কৌতূহলের অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবি পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, এবার গতানুগতিক নকশা ভেঙে দর্শকদের একটি অনন্য ট্রফি উপহার দিতে চেয়েছিল বিসিবি। তবে প্রথম দফায় তৈরি করা ট্রফিটি মানসম্মত না হওয়ায় তা বাতিল করা হয়। তিনি বলেন, “আগের ট্রফিগুলো ছিল বেশ সাধারণ। আমরা পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি ট্রফি তৈরি করেছিলাম, কিন্তু সেটি আমাদের পছন্দ হয়নি। তাই নতুন করে বিদেশের একটি কোম্পানিকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে এবং তা দ্রুতই দেশে পৌঁছাবে।”
এবারের বিপিএল ট্রফির বিশেষত্ব নিয়ে বড় তথ্য দিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন। তিনি জানান, এবারের শিরোপাটি হবে অত্যন্ত মূল্যবান ও ‘ডায়মন্ড স্টাডেড’ বা হীরাখচিত। ট্রফিটির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২৫ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ লাখ টাকারও বেশি। তিনি যোগ করেন, “মূল্যবান এই ট্রফিটি বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে বলে হাতে পেতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে এটি যখন উন্মোচন করা হবে, তখন সবাই এর বিশেষত্ব বুঝতে পারবেন।”
ট্রফিটি দেশে পৌঁছানোর পর এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা সবার সামনে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। তিনি জানান, ট্রফি হাতে পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যথাযথ মর্যাদায় উন্মোচন করা হবে।
বিপিএলের ইতিহাসে এবারই প্রথম এত বড় অঙ্কের ব্যয়ে হীরাখচিত ট্রফি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রফিটি সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার অনুপস্থিতি থাকলেও, এর আভিজাত্য নিয়ে ইতোমধ্যেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। আসরের চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে এই ‘ডায়মন্ড’ শিরোপাটি দেখার জন্য এখন ফাইনাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দর্শকদের।




Comments