দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশাল এলাকাজুড়ে চলা ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও টানা বৃষ্টির প্রভাবে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে এই মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ এলাকায় পানি নামতে শুরু করায় বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন এবং আটকে পড়াদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত সেখানে ৯৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পদাং পারিয়ামান এলাকায় ২২ জন মারা গেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় শুক্রবার পর্যন্ত অনেক এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দারা তীব্র খাদ্য ও ত্রাণ সংকটের কথা জানিয়েছেন।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের আটটি প্রদেশে বন্যায় এখন পর্যন্ত ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৫ লাখ ছাড়িয়েছে। দেশটির হাত ইয়াই শহরে বৃষ্টি থামলেও জলাবদ্ধতা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে।
প্রতিবেশী মালয়েশিয়ায় বন্যায় এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়া’ দুর্বল হয়ে পড়লেও ভারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি রয়েছে। দেশটিতে এখনো ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
এছাড়া, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের বন্যাকবলিত বিভিন্ন হোটেলে আটকে পড়া ১,৪৫৯ জন মালয়েশিয়ান নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো প্রায় ৩০০ জন সেখানে আটকে আছেন, যাদের ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।




Comments