 
                   ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে ৮ আগস্ট। পরদিন ৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন বিচারবহির্ভূতভাবে নিহত হয়েছেন। দায়িত্বগ্রহণের ১৩ মাসে কারাগারে মৃত্যু হয়েছে ৮৮ জনের।
৩০ অক্টোবর মানবাধিকার সংস্থা অধিকার এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন সহযোগী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিকার।
অধিকার-এর তথ্য অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যার ৪০টি ঘটনার মধ্যে ১৯ জনকে গুলি করে, ১৪ জনকে নির্যাতন করে এবং ৭ জনকে হেফাজতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
শুধু জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসেই ১১ জন নিহত হন, যার মধ্যে সাতজনকে হত্যা করেছে যৌথ বাহিনী, তিনজনকে পুলিশ ও একজনকে সেনা সদস্যদের হাতে নিহত বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজনকে নির্যাতন করে, ছয়জনকে গুলি করে এবং দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অন্তত ২৭ জন কারাগারে মারা গেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ মাসে কারাগারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে অন্তত ৩৫ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরেই নিহত হয়েছেন ১০ জন। এছাড়া গত মে মাস থেকে বিভিন্ন সীমান্তপথ দিয়ে ভারত অন্তত ২ হাজার ৩৩৩ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে দিয়েছে—এমন তথ্যও প্রকাশ করেছে অধিকার।
অধিকার-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ মাসে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮১ জনে। একই সময়ে অন্তত ৬৮৭ নারী ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন—এর মধ্যে ১৮৮টি ঘটনা ঘটেছে চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে ১৫৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৫টি ঘটনা ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
 
                

 
               
Comments