Image description

রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পানের আবাদে বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে। জেলার দুর্গাপুর, পবা, বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় অতিবৃষ্টি, আবহাওয়ার অস্থিরতা ও রোগবালাইয়ের আক্রমণে শত শত পান বরজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা পড়েছেন চরম আর্থিক সংকটে। উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও বাজারে পানের দাম আশানুরূপ না থাকায় চাষীরা এখন ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। 

চাষীদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, সহজ শর্তে কৃষিঋণ, এবং বরজ রক্ষায় আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সহায়তা নিশ্চিত করা দরকার। তা না হলে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী পান চাষ ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

দুর্গাপুর উপজেলার পানচাষী জয়নাল আবেদিন বলেন, “প্রতি বিঘায় এবার এক লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। কিন্তু বিক্রি করে অর্ধেকও তুলতে পারছি না। বাজারে পাইকাররা অজুহাত দেখিয়ে দাম কমাচ্ছে, অথচ ভোক্তাদের কাছে পানের দাম আগের মতোই রয়ে গেছে।”

একই অভিযোগ করেছেন পবা উপজেলার চাষী শামিম ইসলাম। তিনি বলেন, “আমরা নিজেরা পরিশ্রম করে ফসল ফলাই, কিন্তু লাভটা নিচ্ছে আড়তদার আর পাইকাররা। সরকার যদি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পান ক্রয় করে বা ন্যায্য দাম নির্ধারণ করে দিত, তাহলে আমরা কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম।”

দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা পারভীন লাবনী জানান, “ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রণোদনা বা স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান করলে তারা আবারও চাষে ফিরতে পারবেন।”