Image description

দৈনিক মানবকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা এলজিইডি। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির আপাত অবসান ঘটাতে সিরাজগঞ্জ-১ ও কাজিপুর উপজেলার সীমান্তে, রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের ইছামতি নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোর দু’পাশের রাস্তায় ইট বিছিয়ে চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে করে কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর ও ধুনট— তিন উপজেলার হাজারো মানুষের যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে।

ইছামতি নদীর ওপর প্রায় দুইশ ফুট লম্বা এই বাঁশের সাঁকোটি কয়েক মাস আগে স্থানীয় যুবক আসাদুল ইসলামের উদ্যোগে নির্মিত হয়। এটি ছিল এলাকাবাসীর একমাত্র পারাপারের মাধ্যম। কিন্তু সাঁকোতে ওঠার দু’দিকের রাস্তাগুলো ভেঙে এবড়োখেবড়ো হয়ে পড়ায় চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রিকশা, ভ্যান, সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল— কিছুই নিরাপদে পারাপার করা যেত না, প্রায়ই ঘটত দুর্ঘটনা।

অবশেষে উপজেলা এলজিইডির উদ্যোগে গত চার দিনে প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয়ে সাঁকোর দু’পাশে ইট বিছিয়ে দেড়শ ফুট পূর্বপাড় ও আড়াইশ ফুট পশ্চিমপাড়ের রাস্তা মেরামত করা হয়।

কাজিপুরের ভ্যানচালক রনজু মিয়া বলেন, "আগে রাস্তায় এত গর্ত ছিল যে, সাঁকোয় উঠাই যেত না। এখন ইট বিছানোয় অনেকটা স্বস্তি পাই।"

একই এলাকার শহিদুল ইসলাম জানান, "আগে শুধু বাঁশের সাঁকো দিছিল, এখন দুই পাড়ে ইটও দিছে। এখন গাড়ি নিয়াও পার হইতে পারি। আপাতত কষ্ট কমছে।"

উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তারা বলেন, "প্রতিদিন মানুষকে কষ্ট পেতে দেখেছি। তাই মানবিক বিবেচনায় কাজটি করা হয়েছে। তবে এখানকার মানুষের জন্য স্থায়ী একটি সেতু প্রয়োজন— সেটি সরকারের পক্ষ থেকে করা উচিত।"

উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান জানান, "খুব শিগগিরই ওই স্থানে সমীক্ষা চালানো হবে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত ঢালাই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।"

এখন এলাকাবাসীর প্রত্যাশা— সাময়িক নয়, একটি স্থায়ী সমাধান। ইছামতি নদীর তীরে তারা স্বপ্ন দেখছেন একটি পাকা সেতুর, যা একডালার মানুষদের জীবনে চিরস্থায়ী স্বস্তি ও উন্নয়নের বার্তা বয়ে আনবে।