ভোলায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও বিজেপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি শোডাউনের সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় সাংবাদিকসহ উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ (সদর) আসনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি ও বিজেপির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সেই উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় শনিবার দুই পক্ষই তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করে।
সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে হাজারো নেতাকর্মীর সমাবেশ হয়। অপরদিকে, একই সময়ে জেলা বিজেপি নতুন বাজারে তাদের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে। সকাল থেকেই দুই পক্ষে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কে বা কারা ইটপাটকেল ছোড়ে। এসময় উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রাইসুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক ও বশির হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতাকর্মীদের সরে যেতে নির্দেশ দেন। পরে তারা সেখান থেকে সরে যায়। ঘটনার পর পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা নতুন বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়।
জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আন্দালিব রহমান পার্থর গরুর গাড়ি মার্কার সমর্থনে আমাদের শান্তিপূর্ণ র্যালি ও সমাবেশ শেষ হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় এবং অফিস ভাঙচুরসহ আমাদের বহু নেতাকর্মীকে আহত করে।
বিএনপির জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রাইসুল আলম বলেন, আমাদের দল পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল এবং প্রশাসনের দেওয়া নির্ধারিত সময়েই বিক্ষোভ মিছিল করি। কিন্তু আমাদের মিছিলে ঢিল ছোড়া হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু শাহাদাত শাহাদাত মোহাম্মদ হাসনাইন পারভেজ বলেন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় দলের নেতাকর্মীদের সংযত ও উস্কানিমূলক বক্তব্য না দিতে আহবান জানান।




Comments