বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার তিনবারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মাঞ্জুরুর রব মুর্তযা আহসান মামুন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন। রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে বরগুনা জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ হারুনের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তিনি এই যোগদান সম্পন্ন করেন।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিস্তৃত পোস্টে মামুন তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা এবং দলীয় রাজনীতির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, “দলীয় রাজনীতিকে আমি কখনো ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে দেখিনি। আমার কাছে রাজনীতি মানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার আন্তরিক প্রয়াস।”

তিনি জানান, ১৯৮৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বামনায় ফিরে এসে প্রথমে জাতীয় পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। ২০০২ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য আলহাজ নূরুল ইসলাম মনিরের আহ্বানে বিএনপিতে যোগ দেন এবং বরগুনা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো আদেশপত্র বা বিজ্ঞপ্তি তিনি পাননি। একাধিকবার পুনর্বহালের আবেদন করলেও তা গৃহীত হয়নি।

বহিষ্কারের পর দীর্ঘদিন নির্দলীয় অবস্থানে থেকে এলাকার শিক্ষা, সমাজসেবা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন মামুন। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট ও নৈতিক অবক্ষয় দেখে হতাশ হয়ে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।

তার ভাষ্য, “নিজ স্বার্থ বা পদ-পদবীর লোভে নয়, মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি। বিএনপির বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে যুক্ত হওয়ার কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাইনি।”

যোগদান অনুষ্ঠানে জেলা আমীর মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ হারুন তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-২ আসনের জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. সুলতান আহমদ, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা আবু জাফর মো. সালেহ, সহকারী সেক্রেটারি মো. শামীম আহসান এবং গাজীপুর জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, বামনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুল জলিল আকন্দসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।