দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সিআইপি’ (বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম রাহী। তিনি চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসন থেকে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে তিনি এ মর্যাদা অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় তাকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সিআইপি নির্বাচিত করেছে, যা আগামী ২০২৬ ও ২০২৭ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সিআইপি নির্বাচিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় শফিকুল ইসলাম রাহী বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। একই সঙ্গে এই সম্মানজনক স্বীকৃতির জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এই অর্জন শুধু আমার একার নয়; বরং আমার প্রতিষ্ঠানের সহকর্মী, ব্যবসায়িক অংশীদার এবং শুভানুধ্যায়ীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। এই স্বীকৃতি আমাকে দেশ ও জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে অনুপ্রাণিত করবে।’
শফিকুল ইসলাম রাহী দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের মরহুম মোহাম্মদ এনু মিয়া ও মরহুমা আয়শা খাতুন এর সন্তান। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে অবস্থিত ‘রাহী ওয়ান ট্রাভেলস’-এর স্বত্বাধিকারী। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।
রাজনৈতিকভাবে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এবং আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি এনুমিয়া আয়শাখাতুন ফাউন্ডেশন, শফিকুল ইসলাম রাহী এতিমখানা ও হিফজখানা এবং শফিকুল ইসলাম রাহী দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি মানবিক সংগঠন ‘সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য এবং দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সহকারী সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও এতিমখানার দাতা সদস্য ও উপদেষ্টা হিসেবে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সিআইপি কার্ডধারীরা সচিবালয়ে প্রবেশে বিশেষ পাস, বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল ও সড়কপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণ এবং ভিসার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন।




Comments