Image description

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনকে নাশকতার মামলায় দ্বিতীয়বার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রেফতারের পর সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ছাতক উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তদন্ত (ওসি) রঞ্জন কুমার ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। আওলাদ হোসেন ভাতগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।

জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের আটজন সাধারণ সদস্য এবং তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহারের খবর ছড়ালেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি।

আওলাদ হোসেন পেশায় একজন সাবেক বেসরকারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ২০১১ সালে নৌকা প্রতীকে ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। ‘শূন্য থেকে কোটিপতি’ শিরোনামে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগেও নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেছিলেন আওলাদ হোসেন। জামিনে মুক্তির পর তিনি স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বণ্টন নিয়ে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান। এর জেরে ১১ জন ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন। এই প্রস্তাবে আওলাদ হোসেন ছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ সাবেক ইউনিয়ন সচিব জীতেন দাস, সাবেক পিআইও একেএম মাহবুবুর রহমান এবং যুবলীগ নেতা শিব্বির আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে আওলাদ হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন ইউপি সদস্য নোহা গাড়িতে করে উপজেলা পরিষদ এলাকায় প্রবেশ করেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আপোষ-মীমাংসার চেষ্টার আগেই পুলিশ তাকে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করে।

ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।