Image description

মহা আড়ম্বরে ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই উৎসব আজ ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে। উপজেলার ৩৪টি পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই প্রধান ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় পরিবেশে।

শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন খন্দকার জানান, “সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে আমরা সমন্বিতভাবে আলোচনা করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত স্ব-স্ব মণ্ডপে দায়িত্ব পালন করেছেন।” তিনি আরও জানান, পূজা উদযাপনকে নিরাপদ ও আনন্দময় করতে বিভিন্ন দপ্তর সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, “আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর ছিল। সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজার সমস্ত কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।” উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে উপজেলায় ছিল আনন্দের হাওয়া। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, প্রতি বছর দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যে আগমন করেন অধর্মের বিনাশ, অসুর বধ এবং সাধুদের রক্ষার জন্য। ভক্তদের ডাকে সাড়া দিয়ে মহামায়া মা দুর্গা প্রতি বছর তাঁদের মাঝে আবির্ভূত হন। এই উৎসবকে ঘিরে উপজেলার সকলের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

এই আনন্দ ভাগাভাগি করতে উপজেলার পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম, জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন খন্দকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেফতাহুল হাসানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব। উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন।

দুর্গোৎসবের এই আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টিতে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা এবং বিভিন্ন দপ্তরের উদ্যোগ ছিল লক্ষণীয়। এই সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কুলিয়ারচরে শারদীয় দুর্গোৎসব সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও উৎসবের আনন্দকে আরও গভীর করেছে।