Image description

বগুড়ার শাজাহানপুরে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের গোহাইল বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, গোহাইল ইউনিয়নের শালিখা গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান মতিন কাজি (৪৬), সালনা গ্রামের মৃত লজমুদ্দিন প্রামানিকের ছেলে বাচ্চু প্রামানিক (৪৫) এবং গোহাইল গ্রামের রব্বানী মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান মুক্তা (৩৬)।

এর মধ্যে মিজানুর রহমান মতিন বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন। তিনি গোহাইল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অপর দুই আহতকে শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে মতিন কাজির ভায়রাকে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য মেহেদী হাসান মুক্তার কাছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা ফেরত নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সোমবার দুপুরে গোহাইল বাজারে টাকার লেনদেনের কথা থাকলেও মুক্তা টাকা না দেওয়ায় কথাকাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

মতিন কাজির অভিযোগ, গোহাইল বাজারে টাকা চাইতে গেলে মেহেদী মুক্তা ও তার সহযোগীরা বিএনপি অফিসে আশ্রয় নেয়। পরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নানের নির্দেশে তারা ১৫–২০ জন মিলে আমার ওপর হামলা চালায়।

অন্যদিকে, গোহাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা অফিসে অবস্থান করছিলাম। মুক্তা সেখানে আসার কিছুক্ষণ পর মতিন কাজি ও তার লোকজন এসে মুক্তাদের ওপর চড়াও হয়। বাচ্চু প্রামানিক মাঝখানে গিয়ে ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।

অভিযুক্ত মেহেদী হাসান মুক্তা নিজের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মতিন কাজি আমার ওপর ক্ষিপ্ত। আমি কখনো বিদেশে কাউকে পাঠানোর জন্য টাকা নেইনি। পূর্ব শত্রুতার জেরে সে আমাকে কিল-ঘুষি মেরেছে।

আহত বাচ্চু প্রামানিক বলেন, আমি শুধু ঝগড়া থামাতে গিয়েছিলাম। তাতেই আহত হয়েছি।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।