Image description

বাগমারার ২নং নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও বাগমারা উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা তাজরুল ইসলামের নিকট থেকে সেবা না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেন নরদাশ ইউনিয়নবাসী।

নরদাশ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া সাধারণ জনগণ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম রেজা, ইউপি সচিব আব্দুল জলিল, নরদাশ গ্রামের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ মামুন, হাট মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা নওশাদ আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ রানা, ওয়াসিম আলী ও মকসেদ আলীসহ আরও অনেকে।

বক্তারা অভিযোগ করেন- গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার আবুল গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপন করেন।

এরপর ইউনিয়নবাসীর সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিরিয়ালের ভিত্তিতে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগপন্থী কয়েকজন ইউপি সদস্যের ষড়যন্ত্রে প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের পরিবর্তে উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা তাজরুল ইসলামকে এই ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু আইসিটি কর্মকর্তা তাজরুল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কোনো দিনই তিনি ইউপি কার্যালয়ে আসেননি বলে অভিযোগ করেন ইউনিয়নবাসী।

ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা বিউটি খাতুন, শেফালী বেগম ও শ্যামলী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তারা তাদের শিশু সন্তানের জন্ম সনদ নেওয়ার জন্য প্রায় তিন মাস ধরে ইউপি কার্যালয়ে ঘুরছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান না থাকায় আজও তারা তাদের সন্তানের জন্ম সনদ পাননি। এ কারণে তাদের সন্তানরা কয়েক দিন আগে টাইফয়েডের টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া নাগরিকত্ব সনদ ও ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা পাওয়া থেকেও ইউনিয়নবাসী বঞ্চিত রয়েছেন বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। এই পরিস্থিতিতে ইউনিয়নবাসীর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই ইউপিতে দ্রুত একজন প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার জন্য দাবি জানান মানববন্ধনকারীরা।