Image description

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কৌড়ি গ্রামে বিয়ের দাবিতে ফাঁসির দড়ি হাতে প্রেমিকার বাড়িতে অনশন করেছেন রবিউল হাসান রবি (২৮) নামে এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে, যা পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

রবিউল হাসান রবি হরিরামপুর উপজেলার উত্তর মেরুন্ডি এলাকার আজাদ মোল্লার ছেলে এবং পেশায় একজন ঠিকাদার। তার প্রেমিকা তাহমিনা মিম (২১) কৌড়ি এলাকার প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে এবং মানিকগঞ্জ মহিলা কলেজের অনার্সের ছাত্রী।

জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে রবিউল ও মিমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সময়ের সাথে সাথে তাদের সম্পর্ক গভীর হয় এবং দুই পরিবারই বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে মিম বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর থেকে রবিউল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত ফাঁসির দড়ি হাতে মিমের বাড়িতে অনশনে বসেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, এবং উৎসুক জনতা মিমের বাড়ির সামনে ভিড় করে।
তাহমিনা মিম দাবি করেন, রবিউলের সঙ্গে তার কেবলমাত্র সাধারণ কথাবার্তা ও কিছু দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি বলেন, “তার সঙ্গে আমার কোনো প্রেম বা বিয়ের সম্পর্ক নেই। সে আমার সম্মানহানির চেষ্টা করছে। আমি তাকে বিয়ে করব না। আমার মতে, সে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।”
মিমের মা পারভীন আক্তার বলেন, “আমার মেয়ে যেখানে সম্মত নয়, সেখানে আমি জোর করে বিয়ে দিতে পারি না। আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন, এই ঘটনায় আমি কী করব বুঝতে পারছি না।”
গলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিক বিশ্বাস বলেন, “মেয়ে ও তার পরিবার যদি বিয়েতে রাজি না থাকে, তাহলে সুন্দর সমাধানের কোনো পথ নেই। ছেলেকে প্রথমে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে দুই পক্ষের কথা শুনে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি ইতিমধ্যে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।”

এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ইতিমধ্যে অবগত হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।