Image description

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ভোটের আলাপ এখন সর্বত্র। নির্বাচনের হাওয়া লেগেছে পুরো দেশে। পিছিয়ে নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের ভোটাররাও। সবার মুখে এখন শুধু নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে বেশ উৎফুল্ল এ আসনের ভোটাররা। গণঅভ্যুত্থানের পরই এটিই হবে প্রথম জাতীয় নির্বাচন। দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক শক্তির কারণে নির্বাচনের মাঠে বিএনপি এগিয়ে থাকলেও তৃণমূলে দলের কোন্দল বিদ্যমান। 

অন্যদিকে জামায়াতের চলছে বিরামহীন গণসংযোগ। ফলে আসনটিতে রাজনীতির মাঠ এখন অনেকটাই সরগরম। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে স্বাভাবিক নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরে আসায় ভোটাররা বেশ উচ্ছ্বসিত। সবমিলিয়ে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। সেইসাথে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দেশবাসীকে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার কথা বলছে। অপরদিকে আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের সময় নির্ধারণের ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

দরজায় কড়া নাড়ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে মতভেদ থাকলেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাস টার্গেট করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছেন। তবুও বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো কেউ কেউ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি করছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবে সেটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেশের জনগণ বুঝতে পারবে। 

নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে ভিন্ন মত থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই সহ নির্বাচনী কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে দৈনন্দিন ব্যস্ত সময় পার করছে। পিছিয়ে নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে একাধিক নেতা মাঠে সরব থাকলেও জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে তাদের একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের একক প্রার্থী ডক্টর মিজানুর রহমানকে ঘোষণা করেছে। তিনি নির্বাচনী এলাকায় (গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট) উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ ও নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। 

তবে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও শো-ডাউন শুরু করেছে। সভা-মিছিল এবং মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে জন সমর্থন সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তারা। বিএনপির নেতাকর্মী ও সমার্থকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়া এখনই উপযুক্ত সময়। তারা জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দলীয় এজেন্ডা তুলে ধরছেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী পর্যায় থেকে যাকে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে, তার সাথে কাজ করতে সকল নেতাকর্মী অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানা গেছে। সরাসরি জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করাই দলগুলোর মূল লক্ষ্য। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হতে মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক নেতারা নির্বাচনী এলাকায় বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণার পাশাপাশি গণসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, সাবেক এমপি আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সাবেক এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা বিএনপি'র নেতা আসাদুল্লাহ আহমদ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক সূচি, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সেন্টু, সাবেক পৌর মেয়র তারিক আহমদ, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম তুহিন, আশরাফ হোসেন, এনায়েত করিম তোকি, ইমদাদুল হক মাসুদ, এস এ হক অপু, আতাউর হোসেন মিলন, ফেরদৌস ইসলাম খোকন প্রমুখ। এখন দেখার বিষয় কে পাবেন বিএনপির মনোনয়ন।