স্থানীয় পর্যায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদ এগিয়ে
জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নে স্থানীয় জনগণের ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে গ্রাম আদালত। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সহজ, স্বল্প খরচে এবং দ্রুত বিচারপ্রাপ্তির এই ব্যবস্থা এখন গ্রামীণ জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
“গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬” অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানই আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল গঠিত হয়, যেখানে দুইজন সদস্য অভিযোগকারী পক্ষ থেকে ও দুইজন বিবাদী পক্ষ থেকে মনোনীত হন। বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষ যাতে শহরে না গিয়ে নিজ ইউনিয়নেই ন্যায়বিচার পায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। মানুষ এখন আদালতের দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়িয়ে দ্রুত বিচার পাচ্ছে, এতে সময় ও খরচ দুটোই বাঁচছে। মানুষ এখন আদালতের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ঝামেলায় না গিয়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে দ্রুত বিচার পাচ্ছে। এতে সময়, খরচ এবং পারিবারিক দ্বন্দ্ব—সবই কমছে।
এই আদালত ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে আর্থিক মূল্যসম্পন্ন দেওয়ানি বা ফৌজদারি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে। শুনানি শেষে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে রায় ঘোষণা করা হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ সেই রায় মেনে নেয়।
বড়তারা ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার জমির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলা ছিল। গ্রাম আদালতে শুনানি শেষে ন্যায়বিচার পেয়েছি। চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দুই পক্ষের কথাই মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন।
একইভাবে স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান আলী বলেন, আগে ভাবতাম ইউনিয়নে বিচার মানে পক্ষপাতিত্ব। কিন্তু এখন দেখি সবার কথা সমানভাবে শোনা হয়। রায়ও ন্যায্য হয়েছে—আমরা সবাই সন্তুষ্ট।
স্থানীয় জনগণের মতে, গ্রাম আদালত শুধু বিচার নয়, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সংস্কৃতি গড়ে তুলছে।


Comments