Image description

খুলনার দাকোপে আমন ধান ক্ষেতে মাজরা ও লেদা পোকার আক্রমণ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে প্রতি রাতে ইঁদুরও ধান গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। পোকা দমনে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে এবং ইঁদুর দমনে বিষ বা নানা পদ্ধতি ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় গত বছরের মতো এবারও মোট ১৯ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উফশী ১৮ হাজার ৭৮৫ হেক্টর, স্থানীয় জাত ৩৯০ হেক্টর ও হাইব্রিড ৫৫ হেক্টর।

সরেজমিনে ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সব এলাকায় ব্যাপক ভাবে মাজরা ও লেদা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ইঁদুরের উৎপাতও বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক ভাবে। দিনের বেলায় ইঁদুরগুলো গাছে বা মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকে। আর রাতে ইঁদুরে ধান গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। ফলে ধান গাছ শুকিয়ে লাল হয়ে মারা যাচ্ছে। অতি বৃষ্টির কারণে ধান ক্ষেতে পোকার উপদ্রব বেড়েছে বলে কৃষকরা মনে করেন।

উপজেলার খোনা এলাকার আকরাম শেখ বলেন, ধান গাছে ফলন আসার মুহূর্তে মাজরা ও লেদা পোকার আক্রমণ ও ইঁদুরের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করে পোকা থেকে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন।

 তিনি বলেন মাজরা পোকার থেকেও বেশি ক্ষতি করছে ইঁদুরে। ইঁদুর দমনে বিভিন্ন ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এছাড়া তিলডাঙা, কামারখোলা, কামনিবাসিয়া ও বটবুনিয়া এলাকার আরও একাধিক কৃষক একই অভিমত ব্যক্ত করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, মাজরা, লেদা ও কারেন্ট পোকাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণও বেড়েছে। এছাড়া ইঁদুরও কিছু ধান গাছ কেটে নষ্ট করে ফেলেছে। তবে সার, ওষুধের ডিলারদের বলা হয়েছে তারা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে কীটনাশক রাখে এবং কৃষকদের পোকা দমনের সঠিক কীটনাশকগুলো দেয়। এছাড়া কৃষকদের নিয়ে গঠিত গ্রুপেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর আগামী সপ্তাহ থেকে পোকা ও ইঁদুর দমনে প্রত্যেক বাজারে প্রচারণামূলক সভা অনুষ্ঠিত করে কৃষকদের পরামর্শ ও ভিডিও চিত্র দেখানো হবে।