চন্দনাইশে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চন্দনাইশের পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক। বিদ্যুতের এ ভেলকিবাজিতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চরম বেকায়দায় পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫ থেকে ৭ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। একবার গেলে আর দেখা মেলে না দীর্ঘক্ষণ। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আদায়, মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জের নামে টাকা আদায়, বিদ্যুৎ নিয়ে তামাশা শুরু করেছে চন্দনাইশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জোনাল অফিস। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের কারণে মানুষ ভালো করে ঘুমাতে পারছে না। কোনো জায়গায় আগুন লাগলে অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করলে কেউ রিসিভ করে না। রাতে-দিনে সমান তালেই লোডশেডিং করা হচ্ছে। কোনো রকম ফোন ধরলেই বিদ্যুৎ পাবেন বলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেয় না। এতে বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চন্দনাইশের হাজার হাজার গ্রাহক। নেতৃবৃন্দরা বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা না হয়, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচী ঘোষণা দেওয়া হবে।
২৪ অক্টোবর শুক্রবার সকালে চন্দনাইশ থানা বাজার সদরে চন্দনাইশের সচেতন নাগরিকের উদ্যোগে প্রচণ্ড গরমে ভয়াবহ লোডশেডিং এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান নিজামীর সভাপতিত্বে এবং সংগঠক আলমগীর ইসলাম বঈদীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চন্দনাইশ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মুহাম্মদ আমিন উল্লাহ, শিক্ষাবিদ মাস্টার নুরুল আলম বিএসসি, হাজীপাড়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসার সহ সুপার আবু ইউসুফ নুর কাদেরী, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদুল আলম, পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম, এলডিপির নেতা আবু ছৈয়দ, চন্দনাইশ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খালেদ রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রুবেল, চন্দনাইশ থানা সদর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা জাহেদুল হক সওদাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন সওদাগর, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন, সাংবাদিক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, আরাফাত হোসেন, তৌশিকুর রহমান, তৈয়বুর রহমান রাসেল, মোহাম্মদ সহেল, দেলোয়ার হোসেন, দানু মিয়া প্রমুখ।




Comments