টেকনাফের উপকূলীয় পাহাড়ি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে এ অভিযান পরিচালিত হয়। টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক মানুষকে টেকনাফের বাহারছড়ার পিনিস ভাঙ্গা পাহাড়ি এলাকায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ডের একটি দল অভিযান চালিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে আটক অবস্থায় থাকা ৪৪ জনকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ২৭ জন নারী, ১২ জন শিশু, ২ জন রোহিঙ্গা পুরুষ ও ৩ জন স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিক।
উদ্ধার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্র বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ ও বিনা অর্থে বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের টেকনাফের গহীন পাহাড়ে এনে জিম্মি করে রাখে। পরে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে এবং সুবিধাজনক সময়ে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উপকূল থেকে নৌপথে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের।
অভিযান চলাকালে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পাচারকারীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন তানভীর আহমেদ রশীদ।
তিনি আরও বলেন, “মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।”




Comments