Image description

চট্টগ্রামে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে মো. সাজ্জাদ (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাতজন। সোমবার রাত ১টার দিকে নগরীর বাকলিয়া সৈয়দ শাহ রোডের মদিনা আবাসিক এলাকার সামনে এক্সেস রোডে এ ঘটনা ঘটে। 

সাজ্জাদ বাকলিয়ার তক্তারপুল এলাকার বাসিন্দা মো. আলমের ছেলে। তাদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আহতরা হলেন- জুয়েল, সাব্বির, শরীফ, ইয়াসিন, একরাম, পারভেজ ও মারুফ। তারা সবাই বাকলিয়ার বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা ও যুবদল নেতা বোরহানের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্রপাত হয়।

বোরহানপন্থীরা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের ছবিসহ একটি ব্যানার টানান সৈয়দ শাহ রোডে। রাতে বাদশার অনুসারীরা মেয়রের নির্দেশের কথা বলে ব্যানারটি নামাতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাজ্জাদসহ অন্তত ৮ থেকে ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাজ্জাদকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সাজ্জাদের বড় ভাই মো. ইমরান বলেন, ‘আমার ভাইকে মোবারক নামে এক বিএনপি কর্মী রাতে ফোন করে ডেকে নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোলাগুলির খবর পাই। পরে জানতে পারি, সে মারা গেছে।’

এমদাদুল হক বাদশা চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকলেও দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গত জুলাইয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এক যুবক নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’