হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ৯ দালালকে আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ( ২৮ অক্টোবর) দুপুরে সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের আরজ আলীর ছেলে রমিজ আলী রনি (২৭), পৌর এলাকার অনন্তপুর গ্রামের আইদর শাহর ছেলে মো. কামাল শাহ (২৫), একই গ্রামের আকল আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান রিপন (৪৩), হরুফ মিয়ার ছেলে কাউছার (৩০), বানিয়াচং উপজেলার শতমুখা গ্রামের মজর আলীর ছেলে বিলু মিয়া (৪২), একই উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামের অসিত দাশ (৪০), চুনারুঘাট উপজেলার ফুলগাঁও গ্রামের বেলাল মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক মিয়া (২৭), আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের নিকুঞ্জ ঘোষের ছেলে নিতু ঘোষ (৩৫) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের নিখিল রায়ের ছেলে সৌরব রায় (২১)।
র্যাব-৯ এর শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম বিয়ষটি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটক দালালদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে যাওয়াসহ রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তির নামে হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে। দালালদের কারনে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহসিন মিয়া জানান, আটককৃতদের ১৫ দিনের সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি টিম ও সেনাবাহিনীর একটি টিম আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সদর হাসপাতাল ও আশপাশে যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় ৯ জন দালাকে আটক করা হয়। পরে আটক দালালদের নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বাসানো হয়। ভ্রাম্যমান আদালতে তাদেরকে ১৫ কারাদন্ড দিয়ে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রোগীদের অভিযোগ, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসা রোগীদেরকে দালালরা অত্যন্ত সুকৌশলে ভয় দেখিয়ে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেয়। তাদেরকে জোর করে অন্যত্র নিয়ে যায়। অনেক সময় তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সাও হাতিয়ে নেয়। দালালদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।




Comments