Image description

ভোলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে নীরব বিপ্লব ঘটাচ্ছে উন্নত জাতের ভেড়া পালন। পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি, সৃষ্টি হচ্ছে নতুন সম্ভাবনা; এর উজ্জ্বল উদাহরণ সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ফিরোজ। মাত্র ৬টি ভেড়া দিয়ে খামার শুরু করে দুই বছরেই তিনি লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন এবং বর্তমানে তার খামারে ২৫টি ভেড়া রয়েছে। ফিরোজের এই সাফল্য দেখে এলাকার দুলাল মোল্লা, কাচিয়া ইউনিয়নের আব্দুল মালেক এবং বাপ্তা ইউনিয়নের সোহাগের মতো আরও অনেকেই ভেড়া পালনে আগ্রহী হয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

এই খামারিদের ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি বড় ভূমিকা রাখছে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহায়তা। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইফাদ ও পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) কর্তৃক বাস্তবায়িত রুরাল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি)-এর ‘নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন’ উপ-প্রকল্পের আওতায় খামারিদের মধ্যে উন্নত জাতের ভেড়া বিতরণ করা হয়েছে।

জিজেইউএস-এর মনিটরিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, উন্নত জাতের ভেড়া দ্রুত বর্ধনশীল এবং এর মাংস সুস্বাদু হওয়ায় আমরা সদস্যদের মাঝে এটি বিতরণ করছি। এর মাধ্যমে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

এদিকে বিশেষজ্ঞ উদ্যোক্তারা বলছেন, সঠিক পরিচর্যা আর সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে ভোলা অঞ্চলে ভেড়া পালনই হতে পারে দারিদ্র্য জয়ের অন্যতম হাতিয়ার। যা শুধুমাত্র খামারিদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং পুরো গ্রামীণ অর্থনীতিতে যোগ করতে পারে এক নতুন মাত্রা।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, উন্নত জাতের ভেড়ার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বংশবৃদ্ধির হার এবং শারীরিক বৃদ্ধির হার বেশ ভালো। সেই হিসেবে ভোলায় ভেড়া পালনের এক উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। যারা ভেড়া পালন করছেন, ভোলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সাধুবাদ জানাই। আমরা খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব।