গভীর রাতে পুলিশের অভিযানের পর ধানক্ষেতে মিলল আসামীর মরাদেহ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় পুলিশের গভীর রাতের অভিযানের পর সকালে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম সায়েম (৪৫)। তিনি উপজেলার ৩নং কইচাপুর ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের মুখলেছ উদ্দিন বিল্লালের ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে হালুয়াঘাট মডেল থানার এসআই মানিক সঙ্গী ফোর্সসহ এক আসামিকে ধরতে মাইজপাড়া গ্রামে অভিযান চালান। অভিযানের সময় সায়েমের ঘরের সামনের দরজায় তালা দেখে পুলিশ তার বাবাকে দিয়ে ছেলেকে ডাকাডাকি করান। পরে সায়েম পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
পরদিন সকালে স্থানীয়রা ধানক্ষেতে সায়েমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তা উদ্ধার করে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই জসীম উদ্দিন বলেন, "আমাদের পরিবারের সঙ্গে চাচি ও শরিফ, আজহারুল এবং মোজাম্মেলের মেয়ের জামাই তরিকুলসহ আরও কয়েকজনের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। পূর্বের মামলা ও গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ওই পক্ষের সঙ্গে বিরোধ ছিল।"
তিনি আরো বলেন, "আমার চাচি, শরিফ, আজহারুল, মোজাম্মেলের মেয়ের জামাই তরিকুলসহ আরও কয়েকজন মিলে বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে সায়েমকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধানক্ষেতে উলঙ্গ করে পিটিয়ে হত্যা করেছে।"
নিহতের ভাইয়ের অভিযোগ, "মামলার বিরোধীপক্ষের সাথে মানিক দারোগা ঘুষ খেয়ে বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে পুলিশের ইন্ধনে শরিফ, আজহারুল, তরিকুল সহ আরও দুইজন মিলে সায়েমকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধানক্ষেতে উলঙ্গ করে পিটিয়ে হত্যা করেছে" বলে দাবি করেন তিনি।
হালুয়াঘাট থানার এসআই মানিক মিয়া বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, যদি তিনি কারও কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করে থাকেন, তা প্রমাণ সহ দেখাতে হবে।
এছাড়াও, তিনি আসামি ধরতে যাওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছেন, কিন্তু অর্থ লেনদেন বা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
 
                



 
               
Comments