চরফ্যাশন হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ: মানবিক আলো ছড়ালেন এড. ছিদ্দিক উল্যাহ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দীর্ঘদিন ধরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, বিদ্যুৎ ও পানির সংকটে জর্জরিত ছিল। রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হতো প্রায় প্রতিদিনই। তবে এবার পরিবর্তন এসেছে সেই চিত্রে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ভোলা-৪ আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে ৭ হাজার ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আইপিএস (ইনভার্টার) সরবরাহ করেছেন। এর মাধ্যমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন ২৪ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।
প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে প্রতিষ্ঠিত চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি একটি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়নের প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের একমাত্র চিকিৎসা আশ্রয়স্থল। ২০১৮ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখনো ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিদিন গড়ে ৪০০–৫০০ রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সের অভাবে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে ৩৫ জন চিকিৎসক ও ৩০ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও হাসপাতালে কর্মরত আছেন মাত্র ৭ জন চিকিৎসক ও ১৮ জন নার্স।
রোগীরা জানান, বিদ্যুতের অভাবে চিকিৎসা কার্যক্রমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এখন হাসপাতালটি সারাক্ষণ আলোকিত থাকায় চিকিৎসা সেবায় গতি এসেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগী বলেন,আগে বিদ্যুৎ না থাকলে অপারেশন বন্ধ থাকত, শিশুরা অন্ধকারে কষ্ট পেত। এখন সারাক্ষণ আলো থাকায় হাসপাতালটা অনেক সুন্দর ও প্রাণবন্ত লাগছে।”
পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় হাসপাতালের চারপাশে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। রোগীদের অভিযোগ—অনেক চিকিৎসক প্রাইভেট হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কমিশন বাণিজ্যে জড়িত থাকায় সরকারি হাসপাতালের সেবার মান কমে যাচ্ছে।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আসরাফুল ইসলাম সুমন বলেন,বর্তমানে বিদ্যুতের সংকট নিরসন হয়েছে। এখন যদি জনবল ও বেড সংকট দূর করা যায়, তবে হাসপাতালটি আরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক সেবায় পরিণত হবে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিদ্যুৎ সংকট দূর করে হাসপাতালকে আলোকিত করায় রোগী ও এলাকাবাসী এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, তার এমন উদ্যোগ চরফ্যাশনের স্বাস্থ্য খাতে এক মানবিক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।




Comments