জলঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষার অবনতি: উদাসীনতা ও তৎপরতার অভাব
নীলফামারীর জলঢাকায় শিক্ষা কর্মকর্তাদের তৎপরতার অভাব ও শিক্ষকদের উদাসীনতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। লেখা-পড়ার মান কমে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী সরকারি বিদ্যালয় ছাড়িয়ে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি হচ্ছে।
উপজেলায় ২৪৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৬,৫৭৭ জন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংখ্যা ১,৩১৭ জন, এবং দপ্তরী ও প্রহরী ৮২ জন। এদের তদারকি করার জন্য রয়েছে একজন শিক্ষা অফিসার, ৮ জন সহকারী শিক্ষা অফিসার এবং দুইজন কর্মচারী। প্রতিমাসে সরকারি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বেতন বাবদ খরচ হয় কোটি কোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকা বা শিক্ষক না থাকার কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকরা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসে না বা পাঠ শেষ হওয়ার আগেই চলে যায়। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য যথাযথ মনোযোগ নেই।
স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকরা অভিযোগ করেছেন, সরকারি শিক্ষকরা নিজের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে না পড়িয়ে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করান। ফলে অন্য অভিভাবকও সরকারি বিদ্যালয়ে সন্তান পড়াতে উৎসাহ পান না। জলঢাকা মডেল সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হক বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানরা সরকারি স্কুলে পড়ালে শিক্ষার মান অনেক ভালো হতো।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরিফা আকতার জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও মনিটরিং কম হওয়ায় কার্যকর তদারকি সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামীতে এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হবে।
জলঢাকা উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান হ্রাস, শিক্ষকের উদাসীনতা এবং তদারকির অভাব শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করছে।




Comments